জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ‘জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার’ আহ্বানের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যারা এমন কথা বলেন, তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। এই মন্তব্য করে তিনি রাজনীতিতে অপব্যাখ্যা ছড়ানোর প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ সরাসরি নাহিদ ইসলামের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে অপতত্ত্ব ছড়ানোর, একটা অপব্যাখ্যা ছড়ানোর একটা বিশাল টেন্ডেন্সি দেখি অনেকের মধ্যে। আজকে একটা দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে আমাকে কোনো একটা বিষয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি এখানেই এই সুযোগটা নিয়ে এটা একটু বলে দিই।”
সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যার অভিযোগ এনে বলেন, “আমার বক্তব্যকে অপব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই যোদ্ধারা কেন নিজেদের কাঁধে ওই ঘটনার দায় নিচ্ছে? বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সত্যিকারের জুলাই যোদ্ধারা যুক্ত থাকতে পারে না।”
তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা দিয়ে এটি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে তিনি ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলেছেন। তার অভিযোগ, জাতীয় সংসদের সাউথ প্লাজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কিছু আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামটিকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বানচাল করা।
বিএনপি নেতা রাজনৈতিক দল করা ও গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি হিসেবে পরিচয়দানকারী ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান: “তাদেরকে রাজনৈতিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের আহ্বান জানাই।”
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, “গতকালকে সংগঠিত জাতীয় সংসদের বিশৃঙ্খলা... সেটার সাথে জড়িয়ে আমি বুঝলাম না জুলাই যোদ্ধারা কেন নিজেরা সেই বিশৃঙ্খলার দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে চাচ্ছে।” তিনি বিশ্বাস করেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি এ রকম বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত থাকতে পারে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও নিশ্চিত করেন, 'জুলাই যোদ্ধা'দের একটি সংগঠনের সঙ্গে তার পূর্ব যোগাযোগ ছিল এবং সেই ভিত্তিতেই জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পাঁচ নম্বর দফায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব এবং অপব্যাখ্যা ছড়ানোর প্রবণতা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের এই সমালোচনামূলক বক্তব্য দেশের চলমান রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।
