জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কঠোর মন্তব্য করে বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার মতো কোনো যোগ্যতাই নেই। একইসঙ্গে প্রতীক ইস্যুতে কমিশনকে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে রাজনৈতিক দলের প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা’ না রেখে বারবার এনসিপি’র আবেদন নাকচ করছে, তা প্রমাণ করে ইসি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম স্বৈরাচারের মতো এবং তাদের রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের গণবিশ্বাসী ও জনবান্ধব আচরণ করার কথা থাকলেও, তারা যেন মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাহদের মতো আচরণ করছে।
এনসিপি নেতা জানান, তারা রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতীক ‘শাপলা’ অর্জন করবেন। কারণ, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য তাদের পছন্দের প্রতীককে অন্যায়ভাবে বাতিল করা ইসির ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্তের ফল।
হাসনাত আবদুল্লাহ ইসির সিনিয়র সচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকা, যাতে জনগণের আস্থা পুরোপুরি নষ্ট না হয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, কমিশনের বর্তমান কার্যকলাপ যদি চলতে থাকে, তবে এর পরিণতি পূর্বের বিতর্কিত কমিশনের মতোই হতে পারে।
এনসিপি’র এই নেতার বক্তব্য, কমিশনের এই পক্ষপাতমূলক আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর। তাদের কাছে নিরপেক্ষতা বা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো গুরুত্ব নেই বলেই মনে করছে এনসিপি।
প্রতীক ইস্যু এবং ইসির কার্যক্রম নিয়ে এনসিপি’র এই কঠোর অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে ইসির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
