গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন মনে করেন, দেশে আরেকটি 'এক-এগারো' (১/১১) পরিস্থিতি সৃষ্টি করা ছাড়া আওয়ামী লীগের আর কোনোভাবে ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ নেই। তিনি এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছেন, সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে এই বাংলাদেশে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরবে।
রোববার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই বিরোধী দলীয় নেতা তার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। তাদের এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অগ্নিসংযোগ, গুপ্তহত্যা এবং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চালানো হবে।
রাশেদ খাঁনের মতে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বানচাল করতে পারলে দেশে ১/১১ নেমে আসার পথ সুগম হবে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তারা ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। তিনি বলেন, এই কারণেই শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ অগ্নিসংযোগের পথ বেছে নিয়েছে এবং শিগগিরই তারা গুপ্তহত্যা শুরু করতে পারে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সম্মিলিতভাবে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা কারও অবোধগম্য নয়। বিশেষ করে যারা ভোটের রাজনীতির চিন্তা করে এখন আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিচ্ছেন, তাদের পরিণতি সবচেয়ে কঠিন হবে। তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, "তারা আওয়ামী লীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না।"
এই রাজনৈতিক নেতা দেশের মানুষকে অভ্যন্তরীণ বিভেদ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, নিজেদের মধ্যে বিভক্তির সুযোগে যেন অন্তত এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি আওয়ামী লীগকে ফিরতে না দেয়। তিনি এই লড়াইকে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ থাকার লড়াই হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রাশেদ খাঁনের এই মন্তব্য বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেয়। একইসঙ্গে তার বক্তব্যে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
১/১১ পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার এই আশঙ্কা এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তিকে ঠেকানোর আহ্বান রাশেদ খাঁনের বক্তব্যে গভীর রাজনৈতিক উদ্বেগের প্রতিফলন ঘটাল।
