রাজনীতি

জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড: রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা?

জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড: রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন-এর রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আরমানিটোলায় টিউশনিতে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন পরিসংখ্যান বিভাগের এই শিক্ষার্থী। তার সক্রিয় রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা।

নিহত জুবায়েদ হোসাইন জবিতে ছাত্রদলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। একই সঙ্গে তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। একজন সক্রিয় ছাত্রনেতার এমন আকস্মিক ও সহিংস মৃত্যু তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকেই সন্দেহের তীর ছুড়ছে।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে তার টিউশনির বাসা থেকেই জুবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি জানান, ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হলেও এর নেপথ্যে থাকা কারণ এখনো অস্পষ্ট। পুলিশ সব দিক বিবেচনায় নিয়েই তদন্ত করছে।

অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এটিকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। প্রক্টর দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয়দের মতে, জুবায়েদ হোসাইন নিয়মিত ওই এলাকায় টিউশনি করতে যেতেন। কিন্তু কেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো—রাজনৈতিক কারণ, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, নাকি কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা—তা এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এই ঘটনা কেবল আইনশৃঙ্খলার অবনতিকেই তুলে ধরে না, বরং ক্যাম্পাসের বাইরের এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে।