রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে লাভবান হবে আওয়ামী লীগ: রুমিণ ফারহানা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে লাভবান হবে আওয়ামী লীগ: রুমিণ ফারহানা

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে যদি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তবে এর প্রধান সুবিধাভোগী হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এমনটাই মনে করেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি মনে করেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তারা রাজনীতিতে পুনরায় প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য সময় নিতে চাইবে।

দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচনকে ঘিরে চলমান ষড়যন্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ১৭ বছর পর একটা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, আর এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গীরাও প্রায়ই এই ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন।

রুমিন ফারহানা গত পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থাপনায় (মিরপুরের ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রাম ইপিজেড, এবং বিমানবন্দর কার্গো) হওয়া ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডকে এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার মতে, কেউ বা কোনো গোষ্ঠী দেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে পোশাক শিল্পকে আঘাত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।

জুলাই সনদ সইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সরকারের অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা ছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তার মতে, এতগুলো রাজনৈতিক দল (প্রায় ২৫টি) অংশগ্রহণ করলেও, মাঠের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মীদের দূরে রাখা ছিল দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করে ‘ফেইল স্টেট’ দেখানোর কৌশল:

রুমিন ফারহানা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় আওয়ামী লীগ এক নাম্বারে থাকবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য এটা প্রমাণ করা জরুরি যে তাদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বকে দেখানো যে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বড় কোনো ইভেন্টকে সামনে রেখে এমন মারপিট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ বা আর্মি মোতায়েনের প্রয়োজন হয়নি, যা এখন হচ্ছে। তার মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগই প্রমাণ করতে চাইছে যে, বাংলাদেশে 'মবোক্রেসি' কায়েম হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, নির্বাচন পিছিয়ে গেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (যিনি ফেব্রুয়ারির পর চলে যাওয়ার কথা বলেছেন) না থাকলেও, আওয়ামী লীগ সময় পাবে। এই সময় তারা তাদের দল গোছানো, ভোটার গোছানো এবং নতুনভাবে রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করার সুযোগ নিতে চাইবে, যা তাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক রাজনৈতিক কৌশল।