রাজনীতি

পিআর পদ্ধতি জনগণের সাথে প্রতারণা, মন্তব্য রুহুল কবির রিজভী’র

পিআর পদ্ধতি জনগণের সাথে প্রতারণা, মন্তব্য রুহুল কবির রিজভী’র

দেশের চলমান সিরিজ দুর্ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এসব ঘটনার ক্ষেত্রে কারও কালো হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কেউ এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন," যার মূল লক্ষ্য হলো শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ ভালোভাবে চলছে না, এমনটা প্রমাণ করা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

 

গণতন্ত্রের পথ ও নির্বাচন কমিশন

 

গণতন্ত্রের গুরুত্বকে সর্বোচ্চ স্থানে রেখে রিজভী বলেন, "নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের জ্বালানি শক্তি। এটা ছাড়া গণতন্ত্র এগোবে না।" তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি এখন সেই গণতান্ত্রিক সুবাতাস বইয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে, যাতে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, তার দায়িত্ব পালনে কোনো দ্বিধা না থাকে।

তবে, তিনি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কমিশন যথেষ্ট দৃঢ়তা দেখাচ্ছে, যা ইতিবাচক।

 

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির তীব্র বিরোধিতা

 

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) নিয়ে তিনি তার দল বিএনপির কঠোর বিরোধিতা তুলে ধরেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, পিআর হলো জনগণের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কৌশল। তার মতে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই ধরনের রাজনৈতিক কৌশল কখনো মেনে নেবে না।

বিএনপির এই নেতা তার বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য দুটি প্রধান উদ্বেগ তুলে ধরেছেন— প্রথমত, নাশকতার মাধ্যমে প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র এবং দ্বিতীয়ত, বিতর্কিত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথকে রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ দুটি বিষয়েই স্পষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।