রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নাম ব্যবহার করে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই আটকের ঘটনায় রংপুর ও বাগেরহাট অঞ্চলের একাধিক নেতা জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায়। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ জানান, সকালে গণভবন ক্রসিংয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলের প্রচেষ্টা চালায়। পুলিশের ধাওয়ার মুখে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে যাওয়ার সময় তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশের দল এরপর আসাদগেট ও লালমাটিয়া এলাকায় ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের কাছ থেকে ব্যানারও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রংপুর মহানগর যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান নয়ন, রাজশাহী জেলার মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. জনি, নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকার বাসিন্দা এ বি এম সিরাজুল মনির, রংপুর পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক মাহমুদ, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আলভী, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মুজাহিদুল, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রহমান সরদার ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা মো. সজিব খান।
এই আটকের ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে—তা হলো, কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকার পরেও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশের কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের চেষ্টা রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
