রাজনীতি

৫ হাজার টাকার কমে চলছে জীবন: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য জাতীয় বেতন কাঠামো অপরিহার্য, দাবি এনসিপি’র

৫ হাজার টাকার কমে চলছে জীবন: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য জাতীয় বেতন কাঠামো অপরিহার্য, দাবি এনসিপি’র

বাংলাদেশের অনেক মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জীবনযাত্রার করুণ চিত্র তুলে ধরে তাদের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, দেশের অনেক জায়গায় সম্মানিত ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা মাসে ৫ হাজার টাকাও বেতন হিসেবে পান না, যা তাদের জীবনধারণকে অত্যন্ত দুরূহ করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে এনসিপি মনে করে, একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় দেশের প্রত্যেকটি মসজিদের সম্মানিত কর্মীদেরকে একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোতে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরী।

এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, এনসিপি সরকারিভাবে নির্মিত উপজেলা মসজিদ কমপ্লেক্সগুলোর কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও একটি সফল আলোচনা করেছে। সারজিস আলম জানান, এখানকার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা বর্তমানে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার এবং সাড়ে ৭ হাজার টাকা বেতন পান। মসজিদেই ফজর থেকে এশা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করলেও এই বেতনে তাদের চলা খুব কষ্টসাধ্য হচ্ছে।

এই সমস্যা সমাধানে এনসিপি’র পক্ষ থেকে সম্মানিত ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলা হয় এবং বেতন আপাতত বাড়িয়ে যথাক্রমে অন্তত ২০ হাজার, ১৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা করার আহ্বান জানানো হয়। ধর্ম উপদেষ্টা বিষয়টিকে অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এনসিপি আশা করছে, খুব শীঘ্রই এই বেতন বৃদ্ধির বাস্তবায়ন দেখা যাবে, যা সরকারি মসজিদ কমপ্লেক্সের কর্মীদের আর্থিক কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে।

তবে এনসিপি মনে করে, শুধু সরকারি মসজিদ নয়, পুরো দেশের মসজিদগুলোতে কর্মরত ধর্মীয় কর্মীদের সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করার জন্য একটি জাতীয় বেতন কাঠামো সময়ের দাবি। এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে, ৫ হাজার টাকার কম বেতনে জীবন চালানো হাজার হাজার ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আর্থিক বঞ্চনার অবসান ঘটবে এবং তারা আরও মনোযোগের সাথে ধর্মীয় সেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন।