জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দুর্বল ছিল: আপিল শুনানিতে আইনজীবীর দাবি, অন্ধকার থেকে মুক্তির ডাক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দুর্বল ছিল: আপিল শুনানিতে আইনজীবীর দাবি, অন্ধকার থেকে মুক্তির ডাক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের আইনগত ভিত্তি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে আপিল শুনানির প্রথম দিনে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছিল আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এবং তিনি সেই রায়কে আইনগত ও কাঠামোগতভাবে ভুল ও দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেন।

ড. শরীফ ভূইয়ার মূল যুক্তি হলো, ১৪ বছর আগে এই ব্যবস্থা বাতিল করার ফলে দেশকে এক দীর্ঘমেয়াদি অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই থেকে বিগত ১০ বছর ধরে আর কোনো বৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম. খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে ঐতিহাসিক রায় দেন। সেই রায়ের পর ৫ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সুজন সম্পাদকসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপি, জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আদালত সেই শুনানির অনুমতি দেয়।

বর্তমানে যখন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক চলছে, ঠিক সেই সময়ে আপিল বিভাগে ড. শরীফ ভূইয়ার এই বিশ্লেষণধর্মী দাবি দেশের সচেতন মহলে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে বিতর্ক শুরু হলো। এই আপিলের ফলাফল দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।