বিশ্ব

শান্তি নয়, গাজায় বাস্তবিক পরিবর্তন চায় ইইউ: ট্রাম্পের মধ্যস্থতার পরও ইসরায়েলের ওপর চাপ বহাল

শান্তি নয়, গাজায় বাস্তবিক পরিবর্তন চায় ইইউ: ট্রাম্পের মধ্যস্থতার পরও ইসরায়েলের ওপর চাপ বহাল

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিভাগের প্রধান কাজা কালাস স্পষ্ট করেছেন যে, গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও ইসরায়েলের ওপর বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ অব্যাহত রাখা হবে। ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতিকে তাদের বিরুদ্ধে থাকা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পুরস্কার হিসেবে দেখতে চাইলেও, ইইউ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইইউ চায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলুক এবং গাজায় চালানো গণহত্যার জন্য দায়বদ্ধ থাকুক।

গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে, ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কাজা কালাস বলেন, যুদ্ধবিরতি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি, কিন্তু গাজায় বাস্তবিক পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে। বাস্তবিক পরিবর্তন বলতে তিনি গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, ফিলিস্তিনিদের হাতে তাদের কর-শুল্কের অর্থ দ্রুত তুলে দেওয়া, গাজায় সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আগে ইইউ ইসরায়েলি মন্ত্রীদের কালো তালিকাভুক্ত করার এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য কমানোর মতো কঠোর প্রস্তাব বিবেচনা করেছিল। কাজা কালাস নিশ্চিত করেন যে, এই কার্যকর না হওয়া প্রস্তাবগুলো এখনো আলোচনার টেবিল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি, কারণ পরিস্থিতি এখনো নাজুক।

অন্যদিকে, ইসরায়েল চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন এসব মানবিক ও আইনি দাবি প্রত্যাহার করে নেয় এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখে। তবে ফিলিস্তিনে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দেওয়া এই জোটটি যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পুনর্গঠনে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল এখনো মিশরের সঙ্গে গাজার রাফা সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় ইইউ মিশন তাদের পুনর্বাসন কাজ শুরু করতে পারছে না, যা মানবিক সহায়তার প্রধান অন্তরায়।