ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দেশ পরিচালনায় মানবরচিত কুফরি তন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করে এর অবসান চেয়েছেন। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে যারা যেই নীতি-আদর্শ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তার নাম হলো মানবরচিত কুফরি তন্ত্র। এদের পরিচালনায় আমাদের দেশ বিশ্বের মধ্যে দুর্নীতি ও চোরের দিক থেকে পাঁচবার প্রথম হয়েছে এবং এরা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে 'বেগমপাড়া' তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভোলা জেলা পরিষদ হল রুমে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ভোলা জেলা উত্তরের আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশ রক্ষা, মানবতার কল্যাণ এবং বিদেশি তাঁবেদার থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য ইসলামের পক্ষে একটি নতুন ক্ষেত্র ও সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ বাক্স (ভোট) দেওয়ার ঘোষণা দেন।
রেজাউল করীম দাবি করেন, ইসলামের পক্ষে তাদের এই ঘোষণার পর একশ্রেণির লোকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে এবং তারা কিছু হুজুরকে কেনার প্রস্তাব দিতে শুরু করেছে। এই ধরনের তৎপরতার মাধ্যমে তারা মূলত ইসলামী আদর্শের রাজনীতিকে দুর্বল করতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকের চিন্তার ব্যবধানের কারণে গত ৫৩ বছর আমরা পরগাছার মতো অন্যের ওপর ভর করে চলেছি এবং ইসলাম নামের গাছকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর চিন্তা অনেকে করিনি। তিনি এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এই সুযোগটি হাতছাড়া করা যাবে না। যদি দেশের সব ইসলামী শক্তি মিলে এক কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে পারে, তাহলে চোর, চাঁদাবাজ, খুনি, জালেম এবং বিদেশিদের তাঁবেদাররা এই দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। তিনি মনে করিয়ে দেন, ঢাকা মসজিদের নগরী এবং আজানের শব্দে এ দেশের মানুষের জীবন আবর্তিত হয়, তাই এই দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া সময়ের দাবি।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মুফতি ইয়াসিন নবীপুরির সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা ওবায়েদুর রহমান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
