রাজনীতি

গুম-খু'ন মা'ম'লা: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে বিজ্ঞপ্তি, পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর

গুম-খু'ন মা'ম'লা: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে বিজ্ঞপ্তি, পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরার জন্য জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে টিএফআই-জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে মামলার বিচার প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল একইসঙ্গে গুমের দুটি মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এই দিন ধার্যের আগে সকালে তিন মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শুনানিতে আদালতকে জানান, যেহেতু আসামিরা পলাতক রয়েছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাদের হাজিরার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, এই বিজ্ঞপ্তির পরেও যদি অভিযুক্তরা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হন, তবে তাঁদের পলাতক ঘোষণা করা হবে। এরপর আইনি বিধান মেনে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই রাষ্ট্র তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সচেতন মহল মনে করছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের এই কঠোর নির্দেশ বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এটি আইনের চোখে সকলের সমান অধিকার এবং বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা প্রমাণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।