বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যদি এই অন্তর্বর্তী সরকারে কোনো দলীয় ব্যক্তি থাকেন, তবে তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। তার মতে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণায় রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা সদস্যের কোনো স্থান থাকতে পারে না।
রিজভী আরও বলেন, গত ১৫ বছরের ক্ষমতাশীনদের অপকর্মে যারা জড়িত এবং ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে গিয়ে যারা বেআইনি কাজ করেছেন, তাদের প্রশাসনে বহাল রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন, এই ব্যক্তিরা অনেকেই প্রকাশ্যে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন, তাই তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি। তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ নেবে, তখনই কেবল বিগত বছরগুলোতে ভোটদানে আগ্রহ হারানো জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী দেশের আইনের শাসনের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, এই সব বিষয় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকা উচিত নয়। অভিযুক্তদের নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে এবং আদালত দোষী সাব্যস্ত করলে নির্ধারিত শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান।
