ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে একমত পোষণ করেছেন দেশটির অধিকাংশ নাগরিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও গবেষণা সংস্থা ইপসোস পরিচালিত জরিপে উঠে এসেছে, দেশের মিত্র দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর মার্কিন জনমতও এখন এই পদক্ষেপের পক্ষে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এই জরিপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরাও এই প্রশ্নে বিভক্ত। ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানালেও, রিপাবলিকানদের ৫৩ শতাংশ স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে এবং ৪১ শতাংশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
জরিপে গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ নিয়েও মার্কিন জনগণের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, গাজায় ইসরাইলের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যধিক। এই মন্তব্যের সঙ্গে ৩২ শতাংশ দ্বিমত পোষণ করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের এই সামরিক অভিযান চলছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে এই বিষয়ে জনমত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে, জরিপে হোয়াইট হাউসে ফেরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে মার্কিন জনগণের মনোভাবও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ট্রাম্পের উদ্যোগে চলতি মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি সফল হলে তাকে কৃতিত্ব দিতে প্রস্তুত মার্কিন জনগণ। জরিপের ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা এই বিবৃতির সঙ্গে একমত যে, ট্রাম্প ‘উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের যোগ্য’ হবেন। যদিও ৪২ শতাংশ এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে ট্রাম্পের সামগ্রিক কর্মক্ষমতার প্রতি সমর্থন কম থাকা সত্ত্বেও, শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার ভূমিকাকে জনগণ স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।
এই জরিপ এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন গাজায় সামরিক অভিযান এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি তীব্রভাবে আলোচিত হচ্ছে। মার্কিন জনগণের এই মতামত দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
