ধর্ম ও শিক্ষা

চাকসু শপথ অনুষ্ঠানে বিতর্ক: শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়েও অনুপস্থিত বিতর্কিত প্রতিনিধি

চাকসু শপথ অনুষ্ঠানে বিতর্ক: শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়েও অনুপস্থিত বিতর্কিত প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে। এই শপথ গ্রহণ পর্ব পরিচালনা করেন চাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াহ্ইয়া আখতার। কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ২৬ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে ২৪ জনই ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের।

নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব (উভয়েই শিবির প্যানেলের) শপথ নেন। অন্যদিকে, একমাত্র ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শপথ নেন আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের তামান্না মাহবুব প্রীতি সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে শপথ নেন। শিবিরের প্যানেল ১৮টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়েছে, যার ফলে সংসদের মূল নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে।

তবে এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে একটি বিতর্কিত প্রসঙ্গ সামনে আসে। নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত আকাশ দাস শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীর ধর্ষণের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি তীব্র তোপের মুখে পড়েছিলেন। বিতর্কিত মন্তব্যের পর তার অনুপস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মহলে আলোচনা চলছে। নির্বাহী সদস্য পদে শপথ নেওয়া অন্য চারজন হলেন—জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সালমান ফারসি, সোহানুর রহমান ও আদনান শরীফ।

চাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ ১০টি হল ও একটি হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল মিলিয়ে মোট ২৩৬ জন হল ও হোস্টেল সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। যদিও কেন্দ্রীয় সংসদের মতো হল সংসদগুলোতেও অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুরক্ষিত ও সমুন্নত রাখবেন। শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ে চাকসুর কার্যক্রম কোন পথে এগোয়, এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কতটা সফল হন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।