কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পিটিআই ও ইমরান খানের পরিবারের অভিযোগ, আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ বাধাগ্রস্ত বা সাবোটাজ করছে। এই অভিযোগের মধ্যেই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বৃহস্পতিবার আদিয়ালা জেল সুপারিনটেনডেন্টকে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্ট তার আগের আদেশ, যেখানে ইমরান খানের সঙ্গে সপ্তাহে দুইবার সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ড. তারিক ফজল চৌধুরী সরকারি নমনীয় অবস্থানের বার্তা দিয়েছেন। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যদি তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে, তবে সরকার কারাবন্দি নেতা ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগার থেকে তার নিজ বাড়ি বানিগালা রেসিডেন্সে স্থানান্তর করতে প্রস্তুত। মন্ত্রী বলেন, স্থানান্তর করা হলে তিনি মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, লুডু খেলতে পারবেন এবং যা ইচ্ছা করতে পারবেন। সরকার চায় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করুক।
যদিও মন্ত্রী চৌধুরী দাবি করেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে কোনো বাধা ছাড়াই জেলে তার পুরো পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, কিন্তু পিটিআইয়ের অব্যাহত অভিযোগ এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে যে সাক্ষাৎ লাভের ক্ষেত্রে জটিলতা এখনও কাটেনি। চৌধুরী আরও জানান, কারাগারে ইমরান খানের জন্য ফার্স্ট-ক্লাস মানের ব্যায়াম সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বানিগালায় স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ পিটিআইয়ের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়েছে। আইএইচসি-র এই আদেশ প্রমাণ করে যে, কারাগারে একজন রাজনৈতিক নেতার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হচ্ছে। পিটিআই এখন সরকারের দেওয়া বানিগালায় স্থানান্তরের প্রস্তাব নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই সকলের দৃষ্টি রয়েছে।
