এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভেদ ভুলে মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের অতীতের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসুক এবং জাতীয় পার্টি তাদের অন্যায় সহযোগিতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাক।
দেশের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মঞ্জু বলেন, যারা অতীতে বিভেদের রাজনীতি করেছেন, তারা যেন এই পথ পরিহার করে মানুষের কল্যাণে মনোনিবেশ করেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, "আর কত ঝগড়া করব আমরা, আর কত লাশ ঝরাব, আর কত ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হবে।" তার এই বক্তব্য দেশের সহিংস ছাত্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংঘাতের প্রতি চরম বিতৃষ্ণা প্রকাশ করে।
চেয়ারম্যান মঞ্জু শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বলেন, ২০১৪ সালের একপক্ষীয় নির্বাচন করে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার কায়েম করার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করে যে, জোর করে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয় এবং এমন কর্মকাণ্ডের করুণ পরিণতি একদিন না একদিন ভোগ করতে হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও এবি পার্টির এই নেতা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার প্রত্যাশা ছিল, গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে গুছিয়ে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নেওয়া হবে, দোষীদের বিচার এবং আহত-নিহতদের পুনর্বাসন করা হবে, এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে সুন্দর একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি দেখেন, নানা ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কিনা, তা নিয়ে এখন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বর্তমানে তিনটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার চেষ্টা করছে এবং তাদের চাপে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়ছে, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের রীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
মতবিনিময় সভায় মঞ্জু ঝিনাইদহের ৩টি আসনে এবি পার্টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনে যুব ইউনিটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান খোকন এবং ঝিনাইদহ-৩ আসনে মুফতি মুজাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে তাঁদের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
