রাজনীতি

এনসিপি’র নেতৃত্ব নীতিতে কঠোরতা: ৪০ ঊর্ধ্ব আহ্বায়ক, জুলাই বিরোধীদের ঠাঁই নেই

এনসিপি’র নেতৃত্ব নীতিতে কঠোরতা: ৪০ ঊর্ধ্ব আহ্বায়ক, জুলাই বিরোধীদের ঠাঁই নেই

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। দলের উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে দলীয় সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানান। তিনি বলেন, এনসিপি একটি শক্তিশালী দল হতে চায়, যা জাতীয় পার্টির মতো 'পোষা বিরোধী দল' হবে না, বরং আগামীতে সরকার গঠন অথবা কার্যকর বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

সারজিস আলম দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো মজবুত করার দিকে জোর দেন। তিনি ঘোষণা করেন, দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে এবং নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে বলেন, থানা ও জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত বাংলামোটর (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) থেকে আসবে না; বরং সংশ্লিষ্ট শাখায় সভা করে গণতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারজিস আলম একটি নির্দিষ্ট বয়স কাঠামো নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, জেলা ও থানা কমিটির আহ্বায়কদের বয়স ৪০ বছরের বেশি হতে হবে, অন্যদিকে সদস্য সচিবের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর। এই কঠোর বয়সসীমা দলের নেতৃত্বে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের সমন্বয় নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দলীয় শৃঙ্খলা এবং পরিচ্ছন্ন ইমেজ প্রসঙ্গে তিনি কঠোর অবস্থান নেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, আওয়ামী লীগের পদবিধারী এবং 'জুলাই বিরোধীরা' আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাবেন না। তিনি আরও বলেন, ইমেজ খারাপ বা ক্ষমতা ও পদের অপব্যবহারকারীদের দলে নেওয়া হবে না। তাদের বিষয়ে প্রয়োজনে ফ্যাক্টচেক করে নিশ্চিত হতে হবে। তবে, অন্য দলের 'ক্লিন ইমেজধারী' ব্যক্তিদের দলে নেওয়া যেতে পারে, তবে শর্ত হলো, তারা আগের দলের আদর্শ লালন করতে পারবেন না।

সারজিস আলম আশা প্রকাশ করেন, নভেম্বরের মধ্যে এই কাঠামো তৈরি হলে এনসিপি আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের অন্যতম সেরা ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।