বিশ্ব

গাজা যুদ্ধবিরতি কেন্দ্রে বেসামরিক প্রধান ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ফেগিন: রুবিওর ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা

গাজা যুদ্ধবিরতি কেন্দ্রে বেসামরিক প্রধান ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ফেগিন: রুবিওর ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা

গাজায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ সংস্থায় বেসামরিক প্রধান হিসেবে একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিককে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, স্টিভ ফেগিন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্রাঙ্কের সঙ্গে কাজ করবেন। এই নিয়োগ গাজা সংঘাত নিরসনে ওয়াশিংটনের বৃহত্তর কূটনৈতিক ও সামরিক সমন্বয়ের ইঙ্গিত দেয়।

এই সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারটি ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে স্থাপন করা হয়েছিল। এই বহুদেশীয় কেন্দ্রটির মূল লক্ষ্য হলো দশ দিনের যুদ্ধবিরতির যেকোনো লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণ করা এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের মতো লজিস্টিক কার্যক্রমগুলো নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা। একটি ভাড়া নেওয়া গুদামে স্থাপিত এই কেন্দ্রে প্রায় ২০০ মার্কিন সেনার উপস্থিতি রয়েছে। তারা ইসরায়েলি, ইউরোপীয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানের সেনাদের পাশাপাশি জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন।

সেক্রেটারি অব স্টেট মারকো রুবিও সম্প্রতি গাজা থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত এই কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর তিনি এই উদ্যোগকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেন। রুবিও তার মন্তব্যে বলেন, যদিও সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে, তবুও অগ্রগতি নিয়ে সুস্থ আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

নবনির্বাচিত বেসামরিক প্রধান স্টিভ ফেগিনের কূটনৈতিক প্রোফাইল বেশ সমৃদ্ধ। তিনি ২০২২ সাল থেকে ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এই সময়ে তিনি হুথি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা এবং ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মতো অস্থির পরিস্থিতি সামলেছেন। ফেগিন সম্প্রতি তিন মাস ধরে একই সঙ্গে ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত বহাল থেকে বাগদাদে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার অবস্থান মূলত সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেসামরিক প্রধান হিসেবে তাকে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করল।