দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গমের প্রথম চালান আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের এই জাহাজটিতে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে কেনা ৫৭ হাজার টন গম রয়েছে। খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত গমের মান যাচাই ও খালাস প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে মনিটরিং করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগ) এ এইচ এম কামরুজ্জামান এই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। নমুনা ‘খাওয়ার উপযোগী’ বলে প্রতিবেদন পেলে আগামীকাল রোববার বিকেল থেকে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের কাগজপত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান জানান, আমদানি করা গমের মধ্যে ৩৪ হাজার টনের বেশি চট্টগ্রাম সাইলোতে মজুত করা হবে। বাকি গম মোংলা সাইলোতে রাখা হবে। এই মজুত প্রক্রিয়া দেশের খাদ্য মজুদকে শক্তিশালী করবে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি গমের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু দেশীয় উৎপাদন মাত্র ১১ লাখ টন। ফলে বাকি প্রায় ৭০ লাখ টনের বেশি গম আমদানি করতে হয়। এত দিন রাশিয়া (৫৪ শতাংশ) এবং ইউক্রেন (১৪ শতাংশ) ছিল গমের প্রধান উৎস। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চুক্তির অধীনে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল, যা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২ লাখ ৪২ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে। এই নতুন উৎস দেশের গম আমদানিতে বৈচিত্র্য আনবে এবং সরবরাহ চেইনকে স্থিতিশীল রাখবে।
