রাজনীতি

মেধাবীরা চরিত্রহীন হলে কলঙ্ক: জুলাইযোদ্ধাদের আচরণে কষ্টের কথা জানালেন জামায়াত নেতা

মেধাবীরা চরিত্রহীন হলে কলঙ্ক: জুলাইযোদ্ধাদের আচরণে কষ্টের কথা জানালেন জামায়াত নেতা

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম দেশের দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মেধাবীরা যদি চরিত্রহীন হয়, তাহলে এই জাতির জন্য সেই মেধাবীরা কলঙ্কের তিলক।

তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অতীত প্রসঙ্গ টেনে আনেন। রেজাউল করিম স্পষ্ট করেন, এই দুর্নীতির জন্য দেশের রিকশাচালক, কুলি-মজুর, বা খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং দায়ী হচ্ছেন শিক্ষিত কিন্তু চরিত্রহীন মানুষেরা—যেমন সচিব, আমলা, ইউএনও, ডিসি ও পার্সেন্টিস তোলা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা।

ড. রেজাউল করিম তার বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনের বীরত্বকে স্বীকৃতি দিলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ২৪-এর জুলাই আন্দোলনকারীরা নতুন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু সেই মুক্তিযোদ্ধারা (জুলাইযোদ্ধা) যখন চাঁদাবাজি করে বা আমাদের বৃদ্ধদের অপমানিত করে, তখন আমাদের কষ্ট লাগে। তিনি জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সবচেয়ে আলোচিত শব্দ হিসেবে 'চাঁদাবাজি'-কে উল্লেখ করেন।

তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা ৭১ দেখিনি, কিন্তু আমরা ২০২৪ দেখেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার, স্বৈরশাসন, দুর্নীতি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে স্বৈরাচার মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫৪ বছরের বাংলাদেশের এমপি-মন্ত্রী-রাজনীতিবিদ, যারা বিদেশে বাড়ি কিনেন, যারা বেগমপাড়া তৈরি করেন, তাদের সব ছিল, কিন্তু আল্লাহর ভয় ছিল না

রেজাউল করিম নতুন প্রজন্মের সামনে শপথের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যারা রাজনীতিবিদ, যারা দেশকে শাসন করবে, তারা যদি চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অস্ত্রবাজি ও অন্যের পরিবারে ইয়াবা ও অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চায়, তবে এই দুর্নীতিবাজদের না বলার জন্য তোমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানটি লক্ষ্মীপুর শহর শিবিরের আয়োজনে শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিবিরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন আরমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম