ধর্ম ও শিক্ষা

বহিরাগত উচ্ছেদ বনাম বাম ছাত্রসংগঠন: ডাকসু জিএস'র কঠোর প্রতিক্রিয়া

বহিরাগত উচ্ছেদ বনাম বাম ছাত্রসংগঠন: ডাকসু জিএস'র কঠোর প্রতিক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় একটি সমন্বিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ডাকসু, প্রক্টরিয়াল টিম, পুলিশ এবং সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ভবঘুরে ও অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদের পরেই হকাররা বিক্ষোভ মিছিল করে। এই মিছিলে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো একাত্মতা প্রকাশ করে যুক্ত হয়।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ তাৎক্ষণিক এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সরাসরি বাম সংগঠনগুলোর প্রতিবাদকে মাদক ও অবৈধ ব্যবসার সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেন।

জিএস ফরহাদ তার পোস্টে স্পষ্টভাবে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী, অনিবন্ধিত দোকানদার কিংবা হকারদের কোনো ইস্যু সংশ্লিষ্ট নয়। তার মতে, বহিরাগত উচ্ছেদ অভিযানে যাদের পুরোনো মাদক ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের সিন্ডিকেট ভেঙে যাচ্ছে, তারাই 'নতুন বয়ান হাজির করার' চেষ্টা করছে এবং মিছিলের আয়োজন করেছে।

ডাকসু জিএস-এর মূল বক্তব্য ছিল একটি আল্টিমেটামমূলক: "কথা একটাই—হয় ডাকসু থাকবে, নতুবা অবৈধ ব্যবসা-মাদক সিন্ডিকেট থাকবে; দুটো একসাথে চলতে দেবো না।" এই অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নিরাপদ রাখার বিষয়ে ডাকসুর দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই উচ্ছেদ অভিযান একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তেমনি অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলা অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং মাদকের সিন্ডিকেটকে দুর্বল করবে। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পক্ষে দাঁড়ালেও, ডাকসু জিএস সেই প্রতিবাদকে অবৈধ ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন। এখন দেখার বিষয়, ডাকসুর এই কঠোর অবস্থানের পরও ক্যাম্পাসে অবৈধ ব্যবসা ও মাদক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয় কিনা।