দেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন নিয়ে প্রধান দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে এসেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধানের বাইরে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে আমরা যেন কোনোভাবেই আইনের বাইরে না যাই, সংবিধানের বাইরে না যাই।” ভবিষ্যতে এসব বিষয় যেন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি। তার এই আহ্বান চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আইনি ভিত্তি সুসংহত করার ইঙ্গিত দেয়।
এই অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিও তার মতামত তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, সংসদ নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো সংস্কারকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। সাকি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেন যে, নির্বাচনকে প্রলম্বিত করলে বা বাধাগ্রস্ত করলে তা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বক্তব্যে নির্বাচনের সময় নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। তার মতে, সবারই চাওয়া নির্বাচন যথাসময়ে হোক।
নুরুল হক নূর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জিএম কাদেরের মন্তব্য, "আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না" কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বলে আখ্যা দেন। নূর প্রশ্ন তোলেন, এমন বক্তব্য দেওয়ার পরেও জিএম কাদের কিভাবে প্রকাশ্যে থাকেন। তিনি জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান, কারণ তার মতে, "জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনবে।" নূর অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে বলেন, “নির্বাচনে বিলম্ব করা যাবে না; বিলম্ব করলেই আমাদের বিপদ হবে। প্রয়োজনে জানুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে দিন।
