যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় কারাবন্দী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদনের ওপর রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তিন মাস ধরে কারাগারে থাকা এই সাবেক প্রধান বিচারপতি নিম্ন আদালতে বারবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।
রোববার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার এই জামিন আবেদনগুলো শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয় এবং আদালত রুল জারি করে। রুলের মাধ্যমে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি খায়রুল হককে গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির গুরুদায়িত্বে ছিলেন। তার সময়ে দেওয়া ২০১১ সালের ১০ মে-এর একটি ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হয় এবং দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাবন্দী। ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে তার জামিন আবেদনগুলো শুনানির জন্য প্রথম উত্থাপন করা হয় এবং ২৬ অক্টোবর কার্যতালিকার ৯৮২ থেকে ৯৮৬ নম্বর ক্রমিকে এগুলো ওঠে।
আইন অনুযায়ী, রুল জারির পর সরকার পক্ষকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে। এই জবাবের ওপর ভিত্তি করেই হাইকোর্ট সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এই ঘটনায় দেশের বিচার বিভাগীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনি যে মামলাগুলোতে অভিযুক্ত, সেগুলো সবই গুরুতর অপরাধের অভিযোগে করা হয়েছে।
