রাজনীতি

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি: সাংবিধানিক পরিবর্তন চেয়ে জামায়াত জোটের বিক্ষোভ

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি: সাংবিধানিক পরিবর্তন চেয়ে জামায়াত জোটের বিক্ষোভ

আগামীকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দলের একটি জোট। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ মোট পাঁচটি গণদাবিতে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা সদরে এই সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এই আট দলীয় জোটের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। গত ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই জোট তাদের পাঁচ দফা দাবি জাতির সামনে তুলে ধরেছিল।

তাদের প্রথম ও প্রধান দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি করা এবং সেই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই একটি গণভোট আয়োজন করা। এর পাশাপাশি, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চ কক্ষে সংখ্যাপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করার জোরালো দাবি জানিয়েছে এই জোট।

গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে, তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছে। এই জোট আরও কঠোর অবস্থান নিয়ে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে সাংবিধানিক পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি এবং একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো দাবিগুলো এই জোটের কঠোর অবস্থানকে স্পষ্ট করে। এই কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই জোটের দাবিগুলো সরকারের নীতির ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।