রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় দায়ের করা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দুটি পৃথক মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়া আজ শেষ হলো। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই দুই মামলা থেকে সব অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছিল।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু এবং অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের মতো প্রথম সারির নেতারা।
রমনা ও পল্টন থানার মামলা দুটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন সংঘটিত অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা হয়েছিল। রমনা থানার মামলায় এসআই সহিদুল ওসমান মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। অন্যদিকে, পল্টন থানার মামলায় এসআই সালাহ উদ্দিন কাদের মির্জা ফখরুলসহ ১০৪ জনকে আসামি করেছিলেন।
তবে, মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ উভয় ক্ষেত্রেই ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সব অভিযুক্ত নেতা-কর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন। আদালত আজ পুলিশের দাখিল করা এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং মামলার সঙ্গে যুক্ত মোট ১৬৩ জনকে অব্যাহতি দিয়ে এই আইনি জটিলতার অবসান ঘটান।
এই আদেশের ফলে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মতো গুরুতর অভিযোগ থেকে বিএনপি মহাসচিবসহ ১৬৩ জন নেতা-কর্মী মুক্তি পেলেন, যা দলটির আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য স্বস্তির বিষয়।
