জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংগঠনের জেলা সমন্বয় সভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নির্বাচন কমিশন এবং জোট গঠন নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, শুধুমাত্র কয়েকটি আসনের জন্য এনসিপি কোনো জোট করবে না।
জোট গঠনের প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, তাদের জোট করার বিষয়টি নির্ভর করবে নির্দিষ্ট কিছু কঠিন শর্তের ওপর। যে রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে থাকা মৌলিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে বিশ্বাসী, শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেবে এবং তাদের অঙ্গীকারে আন্তরিকতা থাকবে, এনসিপি কেবল তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হবে। তিনি জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি না পেলে এনসিপি একাই নির্বাচনে অংশ নেবে।
শাপলা প্রতীক নিয়ে এনসিপি-র দৃঢ় অবস্থান আবারো তুলে ধরেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, আইনগতভাবে কোনো বাধা না থাকায় শাপলা প্রতীক না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না এবং এনসিপি তাদের প্রাপ্য এই প্রতীক আদায় করে নেবে। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এনসিপির প্রাপ্য এই প্রতীক স্বেচ্ছাচারী আচরণের মাধ্যমে দেওয়া না হয়, তবে এর বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করতে হবে। প্রয়োজন হলে এনসিপি এই লড়াই রাজনৈতিকভাবে রাজপথে করবে এবং বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলার এনসিপির নেতৃবৃন্দ তাদের অধিকারের জন্য রাজপথে নামবে।
তিনি বিশ্বাস করেন যে, এনসিপি তাদের পছন্দসই শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও, সারজিস আলম অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতিতে শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনাকে সমালোচনা করেন। তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নির্বাচন চান এবং তা ফেব্রুয়ারিতে হলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি জুলাই সনদের অসম্পূর্ণতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না থাকায় এই সনদটি অসম্পূর্ণ এবং এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নয়। তিনি সরকারকে দায়বদ্ধতা পূরণ করে নির্বাচনের কথা চিন্তা করার আহ্বান জানান।
