বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম (মুরাদ)। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। জামায়াতের পক্ষ থেকে ওসি মুরাদের দৃষ্টান্তমূলক বিভাগীয় শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ওসি মুরাদ ফেসবুক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জামায়াতকে স্বাধীনতা বিরোধী উল্লেখ করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণের মন্তব্য করেছেন। তারা ওসির এই মন্তব্যকে একজন সরকারি কর্মকর্তার চরম ধৃষ্টতা হিসেবে দেখছেন। পুবাইল থানা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম হোসেন মৃধা ও মহানগর মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আমজাদ হোসেন খান এই মন্তব্যের স্ক্রিনশট ও ভিডিও প্রমাণসহ জিএমপি কমিশনার জাহিদুল হাসানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ওসি মুরাদ রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকার শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। পুবাইল থানা জামায়াতের আমির আশরাফ আলী কাজল বলেন, আমিরে জামায়াতের বক্তব্য নিয়ে ওসির এমন প্রকাশ্য মন্তব্য স্থানীয় পুবাইলবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং এটি প্রশাসনিক দায়িত্বের চরম লঙ্ঘন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (ভারপ্রাপ্ত) কমিশনার জাহিদুল হাসান জানিয়েছেন, তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং একজন এডিসিকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে যাচাইবাছাই করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক এবং নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীরা এই ঘটনাটিকে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। তারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সত্যতা উদঘাটন করে ওসি মুরাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা এমন রাজনৈতিক পক্ষপাত দেখাতে না পারেন।
