এনসিপি কর্তৃক উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগকে সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্টের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাশেদ খাঁন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই ফাঁদে পা দিলে ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো শক্তি রক্ষা পাবে না।
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি'র পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তিনি এনসিপি'র এই অভিযোগকে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করার এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খাঁন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "এনসিপির পক্ষ থেকে যে ৫ জন উপদেষ্টাকে বিভিন্ন দলের প্রতি বায়াসড বলা হয়েছে, এই উপদেষ্টারা সরকারে না থাকলে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার ১ ঘন্টার জন্যও ক্ষমতায় টিকতে পারবেনা।" তার মতে, এই উপদেষ্টারা কেবল যোগ্যতার দিক থেকেই সেরা নন, বরং তাদের বুদ্ধিমত্তা, যোগ্যতা ও কৌশলের ওপরই সরকার টিকে আছে।
রাশেদ খাঁন ইঙ্গিত করেন, এই উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই উপদেষ্টাদের সিলেকশন তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটির পরামর্শেই হয়েছিল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এনসিপি হয়তো এই ৫ উপদেষ্টাকে তাদের 'আজ্ঞাবহ' বানাতে না পেরেই এখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের 'ট্যাগিং' করছে।
তিনি কঠোর ভাষায় মন্তব্য করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টাদের বিভিন্ন দলের হিসেবে ট্যাগিং করা, দেশে অহেতুক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। তাঁর মতে, এর ফলে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, যা একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। রাশেদ খাঁন আরও সতর্ক করে দেন, এই ধরনের কার্যকলাপ মূলত শেখ হাসিনা এবং ভারতের যে চক্রান্ত নির্বাচন বানচাল ও সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য চলছে, সেই ফাঁদে পা দেওয়ার সামিল।
তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে সতর্ক করে বলেন, এই ফাঁদে পা দিলে কেউই রক্ষা পাবে না। রাশেদ খাঁন পরামর্শ দেন, উপদেষ্টাদের কেবল তাদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু সরকারের ভিত্তি দুর্বল করার কোনো চেষ্টা করা উচিত নয়।
