মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এই সপ্তাহের শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রাবিরতির সময় কিম দেখা করতে চাইলে তিনি প্রস্তুত। ট্রাম্প কিমের সঙ্গে তার 'ভালো সম্পর্ক' থাকার ওপর জোর দেন।
এই দুই নেতা এর আগে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনবার বৈঠক করেছেন। বৈঠকগুলো ছিল অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রণোদনার বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরেও কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, ফলে আলোচনা কার্যত স্থগিত হয়ে আছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও তার সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে তিনি স্থগিত পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। তার মনোনিবেশ ছিল শুধুমাত্র কিমের সঙ্গে দেখা করার ওপর। ট্রাম্প এর আগে তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় পা রেখে কিমের সঙ্গে স্থানীয় ডিমিলিটারাইজড জোনে (DMZ) সাক্ষাৎ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
অন্যদিকে, সম্প্রতি কিম জং উনও ট্রাম্পকে নিয়ে তার 'ভালো স্মৃতি' আছে বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি কড়া বার্তা দিয়েছেন: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের 'অযৌক্তিক' দাবি থেকে সরে আসতে হবে। কিমের এই শর্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো নমনীয়তা না দেখিয়েও কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের এই সাক্ষাতের আগ্রহ কূটনীতিকদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করেছে। কিমের শর্ত এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আগ্রহ— এই দুই বিপরীতমুখী প্রবণতার মধ্যে সম্পর্কের অগ্রগতি কতটুকু হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
