ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আমলের দুঃশাসন ও দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দেশে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে এবং খুনি হাসিনাকে দেশে এনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। তিনি বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সরকারকে সাহস দেখানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্রজনতা তাদের পাশে আছে।
সাদিক কায়েম বলেন, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি রাখা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছিল এবং খুনি হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে যারা সহযোগিতা করেছিল, তারা হলো কালচারাল ফ্যাসিস্ট। তিনি দাবি করেন, এই কালচারাল ফ্যাসিস্টরাই আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং এই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের চেনার আহ্বান জানান।
লগি-বৈঠার মাধ্যমে মানুষ হত্যার ভয়াল দিবস, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্মরণে ‘লগি-বৈঠার লাশতন্ত্র থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান: ২৮শে অক্টোবর প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আজ মঙ্গলবার ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম এই কঠোর মন্তব্য করেন।
ডাকসু ভিপি দাবি করেন, খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এই সংগঠনগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ তাদের কার্যক্রমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়েছে এবং দেশ ভারতের উপনিবেশে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছে। তিনি সবাইকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
