অন্যান্য

সালমান শাহ হত্যা: আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, জামিনের চেষ্টা সামিরার

সালমান শাহ হত্যা: আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, জামিনের চেষ্টা সামিরার

প্রায় ২৯ বছর আগের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় এনেছে হত্যা মামলা। গত ২০ অক্টোবরের আদালতের নির্দেশে সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় মামলা দায়ের করলে প্রধান আসামি করা হয় সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে। এই মামলায় নাম থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে বর্তমানে কঠোর আইনি তৎপরতা চলছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এক আদেশে মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই আদেশ দেন, যা আসামিদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিল। রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, পুলিশ আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

আদালতের এই নিষেধাজ্ঞার পরই প্রধান আসামি সামিরা হকের মধ্যে আইনি তৎপরতা বেড়েছে। জানা গেছে, তিনি গোপনে আগাম জামিনের চেষ্টা করছেন। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে তার বর্তমান স্বামী ইশতিয়াক আহমেদকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। স্বামীর মাধ্যমে সামিরার এই তৎপরতা তার গ্রেপ্তার এড়ানোর প্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

মামলায় সামিরা হক ছাড়াও আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনাটিকে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও, আদালতের নতুন নির্দেশের পর ঘটনাটি এখন হত্যা হিসেবে তদন্ত হবে। আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং প্রধান আসামির জামিনের জন্য তৎপরতা প্রমাণ করে, মামলার আইনি জটিলতা এখন তুঙ্গে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। সামিরা হকের এই জামিন প্রচেষ্টা সফল হয় কিনা, তা জানতে দেশের সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহল আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে।