রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার ইউটিউব চ্যানেল ‘জাহেদস টেইক’-এ তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তাদের সুপারিশগুলি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং অনৈক্য ও বিভেদের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তিনি বিশেষ করে গণভোটের প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি কমিশনের দেওয়া একটি নির্দিষ্ট সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করেন। কমিশন গণভোটের পর ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া শেষ করার যে পরামর্শ দিয়েছে, জাহেদ উর রহমান সেটিকে বাস্তবে সংঘাত তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন। তিনি যুক্তি দেন, প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো নিয়ে ডিবেট আগেই শেষ হয়েছে এবং গণভোটে এসব সংস্কার ইতিমধ্যেই জনগণের অনুমোদন পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন কোনো বিরোধ বা সংশোধনের সুযোগ রাখা উচিত নয়।
জাহেদ উর রহমান আরও প্রশ্ন তোলেন যে, যদি নোট অফ ডিসেন্ট ছাড়াই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হয়, তবে ঐকমত্য কমিশনের এই কাজের উদ্দেশ্য কী ছিল। তার মতে, কমিশনের উচিত ছিল দ্রুত বিভিন্ন রিপোর্ট একত্র করে সরাসরি গণভোটের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
তিনি সতর্ক করে দেন যে, বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের বাধা যাতে না আসে, সে জন্য সরকারকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আশা করেন, সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজবে।
