স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে বেলা ২টার দিকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গেটের প্রবেশমুখে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একপর্যায়ে জলকামান ব্যবহার করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
লালমনিরহাট হাতীবান্ধা থেকে আসা শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম আজাদ পুলিশের এই পদক্ষেপকে 'অমানবিক হামলা' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আমরা সেখানে যাব এবং আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলব; কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমাদের কানে-মুখে জলকামান নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে, এটা কেমন দেশ যে শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়!” তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দেন, "মৃত্যু হলেও আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।"
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের দাবি মেনে নিতে সরকার প্রস্তুত থাকলেও একটি চক্র তা আটকে রেখেছে। জয়পুরহাট থেকে আসা শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, "আমরা জাতীয়করণ চাই। সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু সরকার টালবাহানা করছে।" তাদের মতে, সরকারের এই টালবাহানার কারণে তাদের মতো হাজার হাজার শিক্ষক চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। জীবন বিপন্ন করেও নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা অনড় রয়েছেন। পুলিশি হামলার পরও তারা সরে যেতে রাজি হননি এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সচেতন মহল মনে করছে, শিক্ষকদের ওপর এই শক্তি প্রয়োগের ঘটনা দেশের শিক্ষা ও শিক্ষক সমাজের মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
