অন্যান্য

কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার: আদালতে কঠোর নিরাপত্তা, আইনজীবীর চকলেট দিতে বাধা

কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার: আদালতে কঠোর নিরাপত্তা, আইনজীবীর চকলেট দিতে বাধা

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে আদালতে আনা হলে এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কামরুল ইসলামকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় আনা হয়। এই সময়েই একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম হয়। কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন নেতাকে একটি চকলেট দিতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাতে তাৎক্ষণিকভাবে বাধা দেন।

পুলিশের এই বাধায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কামরুল ইসলাম। তিনি উচ্চকণ্ঠে বলেন, ‘বেয়াদব কোথাকার! আমার ডায়াবেটিস—একটা চকলেট দিয়েছে তার জন্য বাধা প্রদান করতে হবে?’ তার এই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশের পর পুলিশ সদস্যরা আইনজীবীকে কাঠগড়া থেকে সরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং মামলাটিতে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার দেখানোর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে চকলেট ও পানি খাওয়ার অনুমতি চান। উত্তরে বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আইন অনুযায়ী পুলিশই খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেবে।’ এরপর কামরুল ইসলামকে পুনরায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট 'জুলাই আন্দোলন'-এর সময় রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলামসহ ৬৯ জন আসামি লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন, যাতে গুলিতে একজন ব্যক্তি আহত হন। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমানের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিলেন।