রাজনীতি

মারধর মামলা: সাখাওয়াতের নাম অস্পষ্ট, তদন্তের দাবি বাদী রাজিয়া সুলতানার

মারধর মামলা: সাখাওয়াতের নাম অস্পষ্ট, তদন্তের দাবি বাদী রাজিয়া সুলতানার

নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্য মারধরের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। শিশু সন্তানদের সামনে বাবা-মাকে মারধরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা শুরু থেকেই অভিযোগ করছিলেন যে, রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ মামলা গ্রহণে গড়িমসি করছিল।

ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বুধবার (২৯ অক্টোবর) মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়াও নামধারী পাঁচজন এবং অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে মামলা রুজুর পরেও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, থানা থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করার পর তারা লক্ষ্য করেছেন, কপিতে সাখাওয়াতের নামটি অস্পষ্ট বা ঝাপসা। তিনি অভিযোগ করেন, এই অস্পষ্টতা হয়তো আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্বলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ জসিম উদ্দিন অবশ্য জানিয়েছেন, মামলা নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবে।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনা ঘটে। রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী মোঃ ইরফান মিয়া মামলার শুনানিতে যাওয়ার পথে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুসারীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রাজিয়া সুলতানা, তার স্বামী এবং তাদের দুই পুত্র গুরুতর আহত হন। এমন একটি স্পর্শকাতর স্থানে শিশুদের সামনে সংঘটিত এই সহিংসতা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান তার বিরুদ্ধে আনা হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি (ক্লিন ইমেজ) ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করছে। তার এই অস্বীকারের বিপরীতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মামলার কপিতে নামের অস্পষ্টতা দূর করে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহল। আদালত প্রাঙ্গণে এমন হামলার ঘটনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।