মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং আসন্ন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি মনে করেন, বিশ্বের এই দুই পরাশক্তির জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি চীনের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ইতিবাচক হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া সফররত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ বুধবার সিউলে বক্তৃতার সময় জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।' তিনি যোগ করেন, এটি হবে 'দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি,' যা 'লড়াই করার চেয়ে ভালো' এবং 'বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।' ট্রাম্পের ভাষ্য, এই চুক্তি হবে এমন এক ফলাফল যা 'সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।'
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। এর আগে শুধু হোয়াইট হাউস বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
একই বক্তৃতায় ট্রাম্প ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্বও দাবি করেন। তিনি বলেন, সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছিল। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্প জানান, মোদি একজন ‘ভয়ংকর, দারুণ কঠিন মানুষ’। তিনি দাবি করেন, তাঁর ফোন করার দুদিন পরই ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ফোন করে জানায় যে তারা তাদের অবস্থান কিছুটা নরম করবে।
