দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই আয়োজনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মাঝে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসের বাইরে অনুষ্ঠান হলেও, প্রায় সাড়ে চার দশক পর এটি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত প্রথম নবীনবরণ।
অনুষ্ঠানে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বিগত ফ্যাসিবাদী আমলের কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, 'জুলাই বিপ্লবে রাজশাহী মহানগরের ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান ভাইও শহীদ হয়েছিলেন।' তিনি রাজশাহীর জনগণ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ভিপি কায়েম অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ক্যাম্পাসগুলোতে 'খুনি হাসিনা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তার দোসররা' একটি কনসেনট্রেট ক্যাম্প তৈরি করেছিল। গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। সেই সময়ে ক্যাম্পাসে ইসলাম চর্চা বা নামাজ পড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে ট্যাগিং ও হেনস্থা করা হতো।
তিনি উল্লেখ করেন যে, এই 'জুলাই বিপ্লব' এবং অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি নতুন পথে হাঁটছে। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এখনো দেশের প্রকৃত মুক্তি আসেনি। তিনি ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে দেখা দেওয়া দাম্ভিকতা পরিহার করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ক্রমাগত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জারি রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
