রাজনীতি

যারা ভালোবাসেন না,' তাদের প্রতি ইঙ্গিত: শর্ত জুড়ে দিলেন জামায়াত আমির

যারা ভালোবাসেন না,' তাদের প্রতি ইঙ্গিত: শর্ত জুড়ে দিলেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টটি শুধুমাত্র একটি অনুরোধ নয়, বরং দলীয় কর্মীদের আদর্শিক ভালোবাসার একটি শর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। রোববার সকালে প্রদত্ত তার এই বার্তায় তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, কোনো আলেম-ওলামার প্রতি অশোভন মন্তব্য করার অর্থ হলো দলের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা না থাকা।

ডা. রহমানের বার্তাটি মূলত দলীয় শৃঙ্খলার উপর জোর দেয়। তিনি বলেন, 'যদি কেউ এমনটি করেন, তবে ধরে নেওয়া হবে তিনি আসলেই জামায়াতে ইসলামীকে কোনোভাবেই ভালোবাসেন না। ধন্যবাদ।' এই বক্তব্য কার্যত আলেম-ওলামাদের সম্মান করাকে দলীয় আদর্শের প্রতি আনুগত্যের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল। এটি দলের অভ্যন্তরে দায়িত্বশীল আচরণ এবং শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলে এই বিবৃতিকে জামায়াতের আদর্শিক ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে এই ধরনের কঠোর বার্তা সাধারণত বিরল। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তৃতির ফলে দলের ভেতরে ও বাইরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন বিতর্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এই নির্দেশনার ফলে, এখন থেকে দলের সাথে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তি বা সমর্থক আলেম-ওলামা বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করার আগে নতুন করে সতর্ক হবেন। এটি একটি 'রেড লাইন' বা অলঙ্ঘনীয় সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, যার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আমির তার দলের কর্মীদের সংযত ও পরিশীলিত আচরণের দিকে মনোযোগী হতে উৎসাহিত করছেন।

দলের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমিরের এই বক্তব্য আমাদের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি কর্মীদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনবে। এটি কেবল আলেমদের সম্মান জানানোর বার্তা নয়, বরং ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি দলের অবিচল প্রতিশ্রুতিরও বহিঃপ্রকাশ।