রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লবের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং কিছু সূত্রের বক্তব্যে তৈরি হয়েছে রহস্য। হামলার পর পরই পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানালেও, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকার দাবি করেছেন।
ওসি মালেক বলেন, "আমি রাতে থানায় ছিলাম না। ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি।" অথচ হামলাটি হয়েছে মতিহার থানার কাজলা এলাকায়। পুলিশের টহল দল রাত দেড়টায় বাড়ি পরিদর্শন করে গেলেও থানার ওসির এমন মন্তব্য ঘটনার গুরুত্ব এবং পুলিশি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অন্যদিকে, একটি সূত্রের দাবি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ভিন্ন কারণ। সূত্রটি জানায়, যুবলীগ নেতা খালেদ হাসান বিপ্লব গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে দেশের বাইরে থাকলেও, মাসখানেক আগে 'জয়যাত্রা' নামের একটি গণমাধ্যমে তিনি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, ৫ আগস্টের পর তাঁর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে হেনস্তা করা হয়েছে।
কিন্তু সূত্রটির ভাষ্যমতে, ৫ আগস্টের পর যুবলীগ নেতার বাড়িতে বাস্তবে কোনো হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। ওই গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য দেওয়ায় এবং রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করার কারণেই মূলত এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে সূত্রটি মনে করছে। অর্থাৎ, নেতার ‘মিথ্যা’ দাবিই আজকের হামলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশ থেকে যুবলীগ নেতা খালেদ হাসান বিপ্লব হামলার বিষয়ে বলেন, "৫ আগস্টের পর থেকেই আমি দেশের বাইরে। মুখোশ পরে একদল লোক আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সব তছনছ করে দিয়েছে। আমার বৃদ্ধ মায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে।" তিনি আরও জানান, তাঁর মা এতটাই ট্রমাগ্রস্ত যে, আতঙ্কে চিকিৎসা নিতেও অপারগতা প্রকাশ করছেন। এই হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও কারণ খতিয়ে দেখে দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
