পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবনে আল হুসেনের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ভবিষ্যতে সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, মে মাসের সংঘাতের সময় পাকিস্তান যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই "দৃঢ় প্রতিক্রিয়া" জানানো হবে।
উল্লেখ্য, মে মাসে কাশ্মীরের পহেলগাম এলাকায় পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলার পর ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। পাকিস্তান যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' নামে বিমান হামলা চালালে, পাকিস্তান 'অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস' নামে পাল্টা অভিযান চালায়, যেখানে ২০টিরও বেশি ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।
ফিল্ড মার্শাল মুনির এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কোরআনের আয়াত স্মরণ করে বলেন যে, বিশ্বাসের মাধ্যমে যেকোনো শত্রুকে পরাজিত করা সম্ভব এবং মে মাসের যুদ্ধই তার প্রমাণ। এই সংঘাতের কিছুদিন পরই মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট এই ভয়াবহ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে স্বাক্ষরিত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে মুনিরের বক্তব্য পাকিস্তানের সামরিক কৌশলের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা বহন করে।
