আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার ঠিক আগে আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাঁর এই বার্তা—রায় যা-ই হোক, ভারত তাঁর মাকে নিরাপদেই রাখবে—ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হচ্ছে। ভারত সরকার বা নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য না এলেও, জয়ের এই বক্তব্য ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রধান খবর হিসেবে তুলে ধরে এর কূটনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোর ব্যাপক কভারেজ থেকে বোঝা যায়, এই রায়ের ফলাফল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ছাড়িয়ে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে, বিশেষ করে ভারতের স্বার্থে, কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস এবং এনডিটিভির মতো প্রভাবশালী মিডিয়া আউটলেটগুলোতে জয়ের এই মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে, যা প্রকারান্তরে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সাবেক শাসকগোষ্ঠীর সম্পর্কের গভীরতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা তুলে ধরছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে শেখ হাসিনার অবস্থান এবং তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হওয়া—এই সবকটি ঘটনাই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরও একই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনাপ্রবাহটিকে ভারতীয় গণমাধ্যম একটি কূটনৈতিক সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে, যেখানে জয়ের বার্তাটি এক ধরনের আশ্বস্তকারী কূটনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
