বিশ্ব

'ভিশন ২০৩০' সফল করতে পারমাণবিক পথে রিয়াদ, সহযোগিতা দিয়ে লাভ খুঁজছে ওয়াশিংটন

'ভিশন ২০৩০' সফল করতে পারমাণবিক পথে রিয়াদ, সহযোগিতা দিয়ে লাভ খুঁজছে ওয়াশিংটন

সৌদি আরবের উচ্চাভিলাষী 'ভিশন ২০৩০' পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং কার্বন নির্গমন কমিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ শক্তির উৎসকে সুরক্ষিত করতে পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জনের পথে হাঁটছে। এই কৌশলগত লক্ষ্যের বাস্তবায়নকে সামনে রেখে রিয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি সিভিল পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইট এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এই চুক্তিটি সই হতে পারে, যা উভয় দেশের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থ দেখতে পাচ্ছে। পারমাণবিক কারিগরি এবং জ্বালানিতে সৌদি আরবকে সহযোগিতা করার ফলে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব আরও সুসংহত করতে এবং একটি বিশাল বাজার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।

এদিকে, রিয়াদ নিশ্চিত করেছে যে তারা পারমাণবিক কার্যকলাপের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সকল শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। মার্কিন আইনের অধীনে, এই সহযোগিতার জন্য বাধ্যতামূলক '১২৩ অ্যাগ্রিমেন্ট' স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। এই চুক্তি নিশ্চিত করবে যেন রপ্তানিকৃত প্রযুক্তি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্রের প্রসার না ঘটে।

ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে এই পারমাণবিক সহযোগিতার বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের শেষে প্রকাশ করা হবে। তবে এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব যেমন তার জ্বালানি ভবিষ্যৎকে বৈচিত্র্যময় করার পথে এগোচ্ছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পাচ্ছে।