প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক এবং কাঠামোগত সংস্কারের দিকগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। সরকারের সমালোচনা করে যারা একে ‘অযোগ্য’ বা ‘কিছু না করা দল’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন, প্রেস সচিব তাঁদের উদ্দেশ্য করে সরকারের সাফল্যগুলোকে ঐতিহাসিক হিসেবে দাবি করেছেন।
তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে এসেছে। ব্যাংক খাত থেকে অর্থ লুটপাট কমেছে, টাকা স্থিতিশীল হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশেষ করে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি এনেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি লবিং ফার্মেরও সাহায্য না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত ট্যারিফ চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এক বন্দর অপারেটরের সঙ্গে লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি সই করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা উৎপাদন খাতে রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করবে। প্রেস সচিব জোর দিয়ে বলেন, এটি ইউরোপের একক বৃহত্তম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
সংগঠনগত সংস্কারের দিক থেকে, অন্তর্বর্তী সরকার রেকর্ডসংখ্যক আইন মাত্র ১৫ মাসে পাশ করেছে, যার মধ্যে ব্যাপক শ্রম সংস্কারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি দেশের উৎপাদনশীলতা ও কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, নতুন বৈদেশিকনীতি কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রে তার অবস্থানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক নতুন মঞ্চ তৈরি করেছে এবং জুলাই চার্টার এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা দিয়েছে, যা আগামী প্রজন্মের জাতীয় রাজনীতিকে রূপান্তর করতে পারে। প্রেস সচিব উপসংহারে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এত কম সময়ের মধ্যে যে বহুমাত্রিক সফলতা অর্জন করেছে, তা বাংলাদেশের অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
