ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহ শিশিরকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা ঘিরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, তাঁকে গ্রেফতারের অন্যতম কারণ হলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তাঁর দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট। যদিও পরে তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হওয়ার পর লাভলু মোল্লাহ শিশির তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করেন। ওই ফটোকার্ডটিতে লেখা ছিল, 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আই ডোন্ট কেয়ার'। এই পোস্টটিকে উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হেফাজতে নেয়।
তবে হেফাজতে নেওয়ার পর লাভলু মোল্লাহকে গত ১ জুন শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলাটিতে তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে অর্থ যোগানের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ৩১ মে ভোরে পরীবাগ এলাকায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশে মিছিলটি হয়েছিল।
লাভলু মোল্লাহ শিশির নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে তাঁর ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেও পুলিশের নজরে ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাবি মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা সভাপতির পদে ছিলেন। এই রাজনৈতিক যোগসূত্র এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর সমর্থনমূলক কিন্তু বিতর্কিত অনলাইন কার্যকলাপ—এই দুইয়ের সমন্বয়েই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
