উত্তর প্রদেশের কানপুরে ঘটে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তৈরি হওয়া ঘটনাটি এখন আইনি মোড় নিয়েছে। এই ঘটনাটি নারীর আত্মরক্ষার অধিকারের গুরুত্বকে সামনে এনেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত যুবক চাম্পি (৩৫) বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাওয়া প্রেমিকাকে নিয়মিত অনুসরণ ও হেনস্তা করে আসছিলেন।
ঘটনার দিন, সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে, যখন তরুণী তার ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে গিয়েছিলেন, তখন চাম্পি সেখানে গিয়ে তাকে বাধা দেন এবং জোরপূর্বক চুম্বন করার চেষ্টা করেন। এই জোরজুলুমের মুখে পড়ে তরুণী আত্মরক্ষার জন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে কামড়ে চাম্পির জিহ্বার অংশ ছিঁড়ে ফেলেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ওই তরুণী শুধু নিজেকে রক্ষা করেননি, বরং অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদও করেছেন।
জেলার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসি) দিনেশ ত্রিপাঠী দ্রুত এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাটি সমাজের একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরে—সম্পর্ক ছিন্ন করার পরও কেন একজন নারীকে ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে হয় এবং চরম পরিস্থিতিতে তার আত্মরক্ষার অধিকার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনার আইনি নিষ্পত্তি ভারতের বহু যুবতীর জন্য একটি নজির সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
