আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সোমবার ঘোষিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই মামলায় অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর এই সাজা নিয়ে অসন্তুষ্ট জুলাই যোদ্ধা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আইন অনুযায়ী তারা চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যেতে পারবেন এবং তারা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরাতে কঠোর হচ্ছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর তামীম জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্বে জারি করা 'গ্রেফতারি পরোয়ানা'র বদলে এখন 'কনভিকশন ওয়ারেন্ট' বা সাজার পরোয়ানার ভিত্তিতে ইন্টারপোলে নতুন করে নোটিশ জারির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। তাদের মাধ্যমে এই আবেদন ইন্টারপোলে পাঠানো হবে।
প্রসিকিউটর আরও নিশ্চিত করেন যে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে এই প্রথম এমন 'কম্পেনসেশনের' রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ের কপি এখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে, যারা সিদ্ধান্ত নেবেন ক্ষতিপূরণের কোন অংশ কিভাবে কার্যকর হবে। দণ্ডপ্রাপ্তরা ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন শুধু মামলার সার্টিফাইড কপি চাইতে পারবেন; ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটেছে। তাদের এখনকার সকল আইনি পদক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগের মাধ্যমেই নিতে হবে।
