মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঐতিহাসিক বৈঠকে কেবল সামরিক সহযোগিতা নয়, বরং বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, যুবরাজের ওয়াশিংটন সফরকালে দুই দেশ বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির উপর একটি ‘যৌথ ঘোষণা’ অনুমোদন করেছে।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘোষণাটি আগামী দশকগুলোতে বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতার আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করবে, যা সৌদি আরবের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই সহযোগিতা অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের আন্তর্জাতিক নিয়ম ও মানদণ্ড মেনে করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহায়তা করার পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে একটি আইনি কাঠামো তৈরি হলো।
এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দেওয়া এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র চুক্তি অনুমোদন করেছেন। এই সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। সাত বছরেরও বেশি সময় পর ওয়াশিংটনে সৌদি যুবরাজকে আতিথ্য দেন ট্রাম্প। এই উচ্চ-পর্যায়ের সফর এবং একের পর এক কৌশলগত চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয়।
