অন্যান্য

খতিয়ানে 'চান্দিনা ভিটি' বা 'চিরাগী' লেখা কেন বিপদ? জেনে নিন গোপন অর্থ

খতিয়ানে 'চান্দিনা ভিটি' বা 'চিরাগী' লেখা কেন বিপদ? জেনে নিন গোপন অর্থ

জমির শ্রেণিবিভাগ কেবল তার ভৌগোলিক প্রকৃতিই নির্দেশ করে না, বরং এর ব্যবহারযোগ্যতা, আইনি মর্যাদা ও মূল্য নির্ধারণেও মূল ভূমিকা রাখে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিরাজ প্রামাণিক সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমির দলিলে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের আভিধানিক ও ব্যবহারিক অর্থ ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেন, জমির শ্রেণিবিভাগ জানা থাকলে ক্রেতা যেমন সঠিক দামে জমি কিনতে পারেন, তেমনি ভবিষ্যতের আইনি ঝুঁকিও এড়ানো যায়। পাঁচটি বহুল ব্যবহৃত শব্দের অর্থ তিনি এভাবে তুলে ধরেন:

১. চান্দিনা ভিটি: এই শব্দটি দ্বারা হাটবাজারে প্রজাদের জন্য বরাদ্দকৃত অস্থায়ী বা স্থায়ী ধরনের অকৃষি জমি বোঝানো হয়। এই জমির শ্রেণি মূলত বাণিজ্য বা বসতি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে জড়িত। ২. চিরাগী জমি: এটি এক ধরনের নিষ্কর সম্পত্তি। সাধারণত ধর্মীয় বা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের জন্য, যেমন মসজিদ, কবরস্থান বা কোনো স্থাপনায় আলো জ্বালানোর (আলোকসজ্জার) উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হলে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এই জমির ওপর কোনো কর আরোপিত হয় না। ৩. পালাম ভূমি: বসতবাড়ির খুব কাছে অবস্থিত উঁচু ভিটা বা উঠোন ধরনের জমিকে ‘পালাম ভূমি’ বলা হয়। সাধারণত গৃহস্থালির প্রয়োজনে বা শাকসবজি চাষের জন্য এই জমি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ৪. চালা ভূমি: এটি তুলনামূলকভাবে উঁচু ও আবাদযোগ্য জমি। ৫. নাল জমি: নিচু, সমতল এবং ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত জমি।

আইনজীবী সিরাজ প্রামাণিকের মতে, সাধারণ মানুষসহ জমি কেনাবেচার সাথে জড়িত সকলের উচিত এই শ্রেণিগুলোর অর্থ ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া। জমির সঠিক শ্রেণি জানা থাকলে তার বাজারমূল্য, করের হার ও বিক্রয় প্রক্রিয়ার পার্থক্য সহজে বোঝা যায় এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।