বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা নির্বাচনকালীন পরিবেশ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জুড়ে দেওয়া শর্তাবলী নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র বিচারের দৃশ্যমানতাই নির্বাচনের একমাত্র শর্ত হতে পারে না। বরং, তিনি নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মতো একাধিক শর্ত জুড়ে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর মতে, এই শর্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আওয়ামী লীগ নয় শুধু, বরং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার শর্ত। রুমিন ফারহানা প্রশ্ন তোলেন, যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে জামায়াতসহ যারা এই দাবি তুলেছে, তারা আদৌ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। এটি একটি বড় প্রশ্ন, যা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, যদি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় বা প্রত্যাশিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হয়, তবে এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনের শর্তাবলী নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে বা বিরোধী দলের একটি অংশ নির্বাচন বয়কট করলে, তা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফায়দা দেবে।
তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এই জটিল শর্তগুলো একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথকে সংকুচিত করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। সামগ্রিকভাবে, তিনি শর্তসাপেক্ষ নির্বাচনের পরিবর্তে একটি অবারিত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
